201 গম্বুজ মসজিদ - ২০১ গম্বুজ মসজিদ ছবি

আপনারা কি 201 গম্বুজ মসজিদ ভিডিও বা ২০১ গম্বুজ মসজিদ ছবি ও ২০১ গম্বুজ মসজিদ এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টটি আপনাদের জন্য। এই মসজিদে পৃথিবীর সবচাইতে বেশি গম্বুজ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আজকে আমরা আলোচনা করব ২০১ গম্বুজ মসজিদ কোথায়, ২০১ গম্বুজ মসজিদ ভ্রমণ এবং 201 গম্বুজ মসজিদ বা ২০১ গম্বুজ মসজিদ ছবি সম্পর্কে।
তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই, 201 গম্বুজ মসজিদ বা ২০১ গম্বুজ মসজিদ ছবি সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ 201 গম্বুজ মসজিদ - ২০১ গম্বুজ মসজিদ ছবি

201 গম্বুজ মসজিদ ভিডিও

201 গম্বুজ মসজিদ অবস্থিত হচ্ছে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে। ইতিমধ্যেই যা পৃথিবীর সবচাইতে বেশি সংখ্যক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের স্বীকৃতি পেয়েছেন। আর মিনারের উচ্চতার দিক থেকে এই মসজিদ টার দ্বিতীয় অবস্থান। মসজিদের ছাদে সর্বমোট 201 টি কারুকার্যময় গম্বুজ থাকার জন্য 201 গম্বুজ মসজিদ নামে মসজিদটি পরিচিত লাভ করে থাকে।

মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ১৫ বিঘা জমির উপরে বিশাল মসজিদ ও মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে থাকে। দ্বিতল এই মসজিদের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১৪৪ ফুট এবং প্রস্থ হচ্ছে ১৪৪ ফুট। দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদটির ছাদে অবস্থিত উচ্চতায় মূল গম্বুজটি ৮১ ফুট এবং এই গম্বুজটির চারপাশকে ঘিরে ১৭ ফুট উচ্চতার আরও ২০০ টা গম্বুজ তৈরি করা হয়। ১০১ ফুট উঁচু চারটি মিনার মসজিদের চার কোনায় রয়েছে। এছাড়াও পাশাপাশি স্থাপন করা হয়েছে ৮১ ফুট উচ্চতার চারটি মিনার।

আরো পড়ুনঃ সন্তান নরমাল ডেলিভারি করার ২০ টি কার্যকরী টিপস

আর মূল মিনারটি মসজিদের পাশে নির্মাণ করা হয়েছে। যার উচ্চতা হচ্ছে ৪৫১ ফুট। 201 গম্বুজ মসজিদ এ প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লির নামাজ একসাথে আদায় করবার সুযোগ রয়েছেন। মসজিদের দেয়ালে সম্পূর্ণ কোরআন শরীফ অঙ্কিত করা আছে। আর মসজিদের প্রধান দরজা তৈরিতে ৫০ মন পিতল ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও মসজিদ কমপ্লেক্সে লাশ রাখার হিমাগার রয়েছে। এছাড়া ও রয়েছে বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, বিনামূল্যের হাসপাতাল, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে ।

২০১ গম্বুজ মসজিদ ছবি

encrypted-tbn0.gstatic.com

bartabazar.com

imaginary.barta24.com

prod-media-bng.dhakatribune.com

encrypted-tbn0.gstatic.com

২০১ গম্বুজ মসজিদ কোথায়

টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার নগদা সিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণপাথালিয়া গ্রামে ২০১ গম্বুজ মসজিদ অবস্থিত। গোপালপুর সদর উপজেলা থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে ঐতিহাসিক এই মসজিদটি অবস্থিত। এই মসজিদের পাশ দিয়ে ঝিনাই নদী বয়ে গেছে। যার পারিপার্শ্বিক প্রাকৃতিক সুন্দর মনোরম পরিবেশ ভ্রমণ পিপাসুদের কে মুগ্ধ করে রাখবে। পুরো দোতলা বিশিষ্ট ঝিনাই নদীর তীরে অবস্থিত এই মসজিদটা। প্রায় ১৫ বিঘার জমির উপরে এই ২০১ গম্বুজ মসজিদটি অবস্থিত।

টাঙ্গাইল জেলা শহর হতে গোপালপুর উপজেলার প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে পাথালিয়া গ্রামে ২০১ গম্বুজ মসজিদটি অবস্থিত। খুব সহজেই দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে এই মসজিদটি দেখতে আসা যাবে। মসজিদটি অনেক আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর। টাঙ্গাইল জেলার আশেপাশের জেলা গুলো থেকে খুব সহজেই দিনে এসে দিনে যাওয়া যাবে এই মসজিদটি দেখতে। টাঙ্গাইল জেলা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে গোপালপুর উপজেলায় গিয়ে সেখান থেকে আবার ১০ কিলোমিটার গেলে ২০১ গম্বুজ মসজিদ অবস্থিত।

আরো পড়ুনঃ শরীরের পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে কি কি খাবার খাবেন

মসজিদে নির্মাণে কাজ শুরু করে ২০১৩ সালে এবং ২০১৮ সালের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ২০১ গম্বুজ মসজিদ স্থাপন করা হয়। নান্দনিক কারুকার্য সম্বলিত এই মসজিদটার মূল গেট নির্মাণ করা হয়েছে ৫০ মন পিতল দিয়ে। টাঙ্গাইল এর ২০১ গম্বুজ মসজিদ এ ১০১ ফুট উচ্চতার চারটা মিনার রয়েছে। এবং ছোট ছোট রয়েছে ২০০ টা ও একটা বড় ৮১ মিটার উচ্চতার মিনার রয়েছে। ২০১ গম্বুজ মসজিদটি টাঙ্গাইলের এক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্ট এর উদ্যোগে নির্মিত করা হয়েছে।

২০১ গম্বুজ মসজিদ ভ্রমণ

আমরা এখন 201 গম্বুজ মসজিদ ভ্রমণ সম্পর্কে আলোচনা করব। বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ২০১ গম্বুজ মসজিদ ভ্রমণ করতে যেতে চাইলে প্রথমে টাঙ্গাইল জেলা শহরে আসতে হবে। টাঙ্গাইল শহর থেকে চল্লিশ কিলোমিটার দূরে গোপালপুর উপজেলা। গোপালপুর উপজেলা শহর থেকে আবার ১০ কিলোমিটার দূরে মসজিদটি অবস্থিত। টাঙ্গাইল শহরে এসে সিএনজি অথবা বাসে করে গোপালপুর উপজেলায় পৌঁছাতে হবে। সেখান থেকে আবার সিএনজি বা অটোতে করে খুব সহজেই যেতে পারবেন 201 গম্বুজ মসজিদে।

২০১ গম্বুজ মসজিদ ভ্রমণ করতে এসে অনেকের অনেক রকম মনে প্রশ্ন আসতে পারে। যেমন তারা থাকবে কোথায়, খাবে কি ইত্যাদি। তাদের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, 201 গম্বুজ মসজিদের সব রকমের সুব্যবস্থা করা রয়েছে। ঢাকা থেকে না হলে সকালে গেলে রাতের মধ্যে আবার ফিরে আসা যাবে। তবে রাতে থাকতে চাইলে চলে আসতে হবে টাঙ্গাইল শহরে। যমুনা রিসোর্ট ও এলেঙ্গা এর মত লাক্সারি ব্যবস্থা ছাড়াও অসংখ্য বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেলে রাত কাটানো যাবে। আবার খাওয়ার কথা চিন্তা করলে বলা যায়, মসজিদের সামনে ছোট বড় কিছু খাবার হোটেল রয়েছে।

সেখানকার স্থানীয় হোটেলে হালকা নাস্তা কিংবা দুপুরের খাবার খেতে পারবেন। এছাড়াও খাবার দোকান গোপালপুর বাজারে মোটামুটি মানের রয়েছে। আবার চাইলে খাবার সাথে করে নিয়ে যেতে পারবেন। আবার আপনি যদি একদিনের মধ্যে ঢাকা থেকে গিয়ে ঘুরে আসতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই খুব সকাল সকাল রওনা দেয়া লাগবে। কেননা ঢাকা শহরে রাস্তার জ্যামে আটকে গেলে আসা-যাওয়া মিলে অনেক সময় লেগে যাবে। অন্যদিকে আবার সন্ধ্যার আগেই গোপালপুর থেকে ঢাকা আসার বাস বন্ধ হয়ে যায়। তবে সন্ধ্যার আগেই টাংগাইল শহরে আসতে পারলেই সন্ধ্যার পর ও ঢাকায় যাবার বাস কিংবা অন্য কোন যানবাহন পেয়ে যাবেন।

২০১ গম্বুজ মসজিদ এর ইতিহাস

২০১ গম্বুজ মসজিদ এর ইতিহাস সম্পর্কে আমরা এখন জানব। ২০১ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে। মুক্তিযোদ্ধার রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্ট এর উদ্যোগে মসজিদটি নির্মিত হয়েছেন। এই কাজের ভিত্তি প্রস্তর করেছেন কল্যান ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধার রফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যানের মা রিজিয়া খাতুন। মসজিদ নির্মাণে আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। নির্মাণের কাজ ২০১৭ সালে শেষ হবার কথা থাকলেও তা এখনো চলছে।

নির্মাণের কাজ শেষ হবার পর কাবার ইমাম এসে নামাজের ইমামতি করে মসজিদটা উদ্বোধন করবে। এত সংখ্যক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ পৃথিবীর ইতিহাসে কখনো তৈরি করা হয়নি। ২০১ গম্বুজ মসজিদ টি হচ্ছে পৃথিবীর সবচাইতে বেশি গম্বুজ এবং দ্বিতীয় উচ্চতম মিনার বিশিষ্ট মসজিদ। এই মসজিদের নকশা করা হয় নয়টি মিনার এবং ২০১ টা গম্বুজ দ্বারা সজ্জিত একটা পূর্ণাঙ্গ মসজিদ কমপ্লেক্স হিসাবে। বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথালিয়া গ্রামে মসজিদটা অবস্থিত রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে শরীরের দূর্বলতা কাটাবেন - শরীর দূর্বল লাগার কারণ কি

মসজিদটা অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। ৮১ ফুট উচ্চতার একটা গম্বুজ এই মসজিদের ছাদে রয়েছে। এ গম্বুসার আশেপাশে আরও ২০০ টি ছোট ছোট গম্বুজ রয়েছে। আর এই গম্বুজগুলোর প্রতিটার উচ্চতা প্রায় ১৭ ফুট। মূল মসজিদের চারকোনাতে চারটা মিনার রয়েছে। প্রত্যেকটা মিনার গুলার উচ্চতা প্রায় ১০১ ফুট। আরো চারটা মিনার পাশাপাশি রয়েছে, যার উচ্চতা ৮১ ফুট। মসজিদের পাশেই সবচাইতে উঁচু মিনারটি অবস্থিত। যার উচ্চতা প্রায় ৪৫১ ফুট।

শেষ কথাঃ 201 গম্বুজ মসজিদ - ২০১ গম্বুজ মসজিদ ছবি

201 গম্বুজ মসজিদ বা ২০১ গম্বুজ মসজিদ ছবি সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোষ্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। 201 গম্বুজ মসজিদ বা ২০১ গম্বুজ মসজিদ ছবি সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।

আজ আর নয়, 201 গম্বুজ মসজিদ বা ২০১ গম্বুজ মসজিদ ছবি সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই 201 গম্বুজ মসজিদ বা ২০১ গম্বুজ মসজিদ ছবি সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url