সন্তান নরমাল ডেলিভারি করার ২০ টি কার্যকরী টিপস

সন্তান নরমাল ডেলিভারি করার ২০ টি কার্যকরী টিপস আপনাদের জানাবো। বেশিরভাগ নারী চাই তাদের সন্তান নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পৃথিবীতে আসুক। নরমাল ডেলিভারি করার জন্য সন্তান নরমাল ডেলিভারি করার ২০ টি কার্যকরী টিপস জেনে রাখুন যেগুলো আপনাকে আপনার সন্তান নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পৃথিবীতে আনতে সাহায্য করবে। সন্তান নরমাল ডেলিভারি করার ২০ টি কার্যকরী টিপস বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে সন্তান নরমাল ডেলিভারি করার ২০ টি কার্যকরী টিপস সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে সন্তান নরমাল ডেলিভারি করার ২০ টি কার্যকরী টিপস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ সন্তান নরমাল ডেলিভারি করার ২০ টি কার্যকরী টিপস

সন্তান নরমাল ডেলিভারি করার ২০ টি কার্যকরী টিপসঃ ভূমিকা

বেশিরভাগ পিতা-মাতা চাই তাদের সন্তান নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করুক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নরমাল ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব হয় না। যার ফলে সিজার করে সন্তান মায়ের গর্ভ থেকে বের করা হয়। কিন্তু পূর্বে সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় নরমাল ডেলিভারি করা হতো। এই আর্টিকেলে সন্তান নরমাল ডেলিভারি করার ২০ টি কার্যকরী টিপস সম্পর্কে আলোচনা করব।

আরো পড়ুনঃসন্তান নরমাল ডেলিভারি করার ২০ টি কার্যকরী টিপস

এছাড়া এই আর্টিকেলে আপনাদের নরমাল ডেলিভারি হওয়ার কিছু টিপস, নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ, নরমান ডেলিভারি হওয়ার উপায়, নরমাল ডেলিভারি করার নিয়ম, নরমাল ডেলিভারি হওয়ার দোয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার কিছু টিপস - সন্তান নরমাল ডেলিভারি করার ২০ টি কার্যকরী টিপস

নরমাল ডেলিভারি অর্থ হচ্ছে এটি একটি স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। সাধারণত মানুষ এর মাসিকের রাস্তা দিয়ে সন্তান প্রসব করাকে চিকিৎসার পরিভাষায় নরমাল ডেলিভারি বলা হয়। শিশুর মাথা জরায়ুর মুখ থেকে বের হতে পারলেই নরমাল ডেলিভারি সম্ভব। নরমাল ডেলিভারি হওয়ার কিছু টিপস রয়েছে। অবশ্যই যদি নরমাল ডেলিভারি করতে চান তাহলে নরমাল ডেলিভারি হওয়ার কিছু টিপস সম্পর্কে আপনাকে ধারণা রাখতে হবে।

সন্তান নরমাল ডেলিভারি করার ২০ টি কার্যকরী টিপসঃ

  • নিজের প্রতি যত্ন
  • সচেতন থাকা
  • জন্মের পরিকল্পনা
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান
  • ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ
  • টেনশন মুক্ত থাকা
  • যোগ ব্যায়াম করা
  • হাসিখুশি থাকা
  • সিগারেট অথবা অ্যালকোহল মুক্ত
  • বাইরের খাবার থেকে দূরে থাকা
  • সময়মতো পরীক্ষা
  • ধর্মগ্রন্থ পাঠ করুন
  • মানসিক প্রস্তুতি
  • খাদ্য তালিকার পরিবর্তন
  • গর্ভকালীন জটিলতা থেকে মুক্তি
  • সুষম খাদ্য গ্রহণ
  • নিয়মিত শরীর চর্চা করা
  • গর্ভের সন্তানের উপর খেয়াল রাখা
  • চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ রাখা
  • অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া

নিজের প্রতি যত্ন -- গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের প্রতি একটু বেশি যত্নশীল হতে হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়ের নিজের প্রতি নিজেকে একটু বেশি যত্ন নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট চার্ট মেনে চলতে হবে। গর্ভাবস্থায় যে সকল খাবার খাওয়া থেকে ডাক্তার বিরত থাকতে বলে অবশ্যই সেগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।

সচেতন থাকা -- অনেকেই মনে করে গর্ভাবস্থায় শুয়ে বসে থেকে দিন কাটাতে হয়। কিন্তু এমনটা নয় যারা মনে করে গর্ভাবস্থায় কাজ করা যাবে না সাধারণত তারা ভুল ধারণার মধ্যে রয়েছে। গর্ভাবস্থায় অবশ্যই নিজেকে অ্যাক্টিভ অর্থাৎ সচল রাখতে হবে। তবে এটা ঠিক যে গর্ভাবস্থায় ভারী কোন ধরনের কাজ করা যাবে না।

জন্মের পরিকল্পনা -- গর্ভাবস্থায় শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরিকল্পনা করে নিতে হবে। আপনার যে সকল সমস্যা রয়েছে অবশ্যই চিকিৎসককে সেগুলো সম্পর্কে জানাতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ম-কানুন নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান -- আমরা জানি যে পানি আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ক্লাস পানি পান করতে হবে। এতে রক্ত চলাচল ভালো হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য এর সমস্যা দূর হয়। সুতরাং যত বেশি পানি খাওয়া যায় ডেলিভারি তত সহজ হবে। বিশেষ করে নরমাল ডেলিভারির জন্য এটি বেশি জরুরী।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ -- সাধারণ মানুষের জন্যও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ না রাখা জরুরি। তাহলে গর্ভবতী মহিলার জন্য ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখা কতটা জরুরী তা অনুমান করা যায়। তাই একজন গর্ভবতী মহিলাকে সব সময় তার ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

টেনশন মুক্ত থাকা -- নরমাল ডেলিভারি হওয়ার অন্যতম একটি প্রধান কার্যকরী টিপস হল টেনশন মুক্ত থাকা। অনেক সময় টেনশন এর কারণে আমাদের নরমাল ডেলিভারি হয় না। টেনশন এর কারণে শরীরের বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা যায় যার ফলে সিজার করে বাচ্চা বের করতে হয়।

যোগা ব্যায়াম করা -- আমাদের শরীরকে এবং মনকে সুস্থ রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ যোগা ব্যায়াম। যদি আপনি চান আপনার সন্ধান নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পৃথিবীতে আসক্ত হলে অবশ্যই নিয়মিত একটি সময় নির্ধারণ করে যোগা ব্যায়াম করতে পারেন।

হাসিখুশি থাকা -- সব সময় হাসিখুশি থাকা। নরমাল ডেলিভারি করার অন্যতম একটি প্রধান উপায় হল হাসিখুশি থাকা। সাধারণত গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন রকম চিন্তা মাথা ভেতরে কাজ করে। এই সকল ধরনের চিন্তা বাদ দিয়ে সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে।

সিগারেট অথবা অ্যালকোহল মুক্ত -- অনেক মহিলার সিগারেট অথবা অ্যালকোহল পান করার খারাপ অভ্যাস রয়েছে। যদি আপনি গর্ভবতী অবস্থায় থাকেন তাহলে আপনার উচিত এই সকল খারাপ জিনিস থেকে বিরত থাকা।

বাইরের খাবার থেকে দূরে থাকা -- অনেক সময় বাইরের খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়। তাই গর্ভাবস্থায়য় বাড়ির খাবার বাদ দিয়ে অবশ্যই ভালো ফলমূল এবং শাকসবজি খেতে হবে যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

সময়মতো পরীক্ষা -- নরমাল ডেলিভারি করতে চাইলে অবশ্যই সময়মতো পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে। গর্ভবতী মায়ের জন্য সময় মত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা মায়ের এবং সন্তানের দুজনের জন্যই ভালো। তাই আপনি যদি নরমাল ডেলিভারি করতে চান তাহলে অবশ্যই নিয়মিত পরীক্ষা করুন।

ধর্মগ্রন্থ পাঠ করুন -- আপনি যদি একজন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি ইসলাম ধর্মের ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কুরআন মাজীদ করুন। এছাড়া অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা সেই ধর্মের যে সকল ধর্মগ্রন্থ রয়েছে সেগুলো পাঠ করুন।

আরো পড়ুনঃ 201 গম্বুজ মসজিদ - ২০১ গম্বুজ মসজিদ ছবি

মানসিক প্রস্তুতি -- এই জন্য মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত অনেক মেয়ে আছে যারা নরমাল ডেলিভারি করতে প্রচুর ভয় পাই। যদি আপনি নরমাল ডেলিভারি থেকে বাচ্চা পৃথিবীতে আনতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে।

খাদ্য তালিকা পরিবর্তন -- গর্ভাবস্থায় মেয়েদের একটু বেশি ভালো খেতে হয়। এতে করে মায়ের এবং সন্তানের দুজনেরই স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাই খাদ্য তালিকার পরিবর্তন আনতে হবে গর্ভাবস্থায়।

গর্ভকালীন জটিলতা থেকে মুক্তি -- গর্ভকালীন বিভিন্ন ধরনের জটিলতা দেখা যায় গর্ভবতী মায়ের শরীরে। তাই এই সময় ভয় না পেয়ে গর্ভকালীন জটিলতা থেকে কিভাবে মুক্ত থাকা যায় সে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।

সুষম খাদ্য গ্রহণ -- আপনার খাদ্য তালিকায় যদি সুষম খাদ্য না থাকে তাহলে অবশ্যই সুষম খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কারণ গর্ভবতী মা এবং গর্ভের সন্তানের জন্য সুষম খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নিয়মিত শরীর চর্চা করা -- শরীরচর্চা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় নারীদের শরীরচর্চা করা খুবই জরুরী। এতে নারীর নরমাল ডেলিভারি হতে অনেক ভূমিকা রাখে।

গর্ভের সন্তানের উপর খেয়াল রাখা -- অনেকে আছে যারা গর্ভের সন্তান এর প্রতি খেয়াল রাখে না। কিন্তু আপনি যদি নরমাল ডেলিভারি তে সন্তান জন্ম দিতে চান তাহলে আপনাকে আপনার গর্বের সন্তানের উপর খেয়াল রাখতে হবে নড়াচড়া করছে কিনা।

চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ রাখা -- নরমাল ডেলিভারি করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরী। কোন সময় যদি সমস্যা হয় তাহলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।

অভিজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া -- যদি আপনার এটি প্রথম ডেলিভারি হয়ে থাকে তাহলে আপনি অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি কোন কাজগুলো করলে আপনার সন্তান নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পৃথিবীতে আসবে সেগুলো জেনে নিতে পারবেন।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখে আমাদের বুঝতে হবে যে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান জন্মগ্রহণ করবে। যদি আমরা নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ গুলো জেনে নিতে পারি তাহলে খুব সহজেই বাড়িতেই অথবা তাড়াতাড়ি মেডিকেলে গিয়ে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে পারবে।

১। সাধারণত যে নারীগুলো ছোট গরমের হয় সাধারণত তাদের জরায়ু ছোট এবং স্বাভাবিকভাবে সন্তান ছোট হবে। অনেক সময় দেখা যায় মা ছোট কিন্তু পেটে সন্তান অনেক বড় এক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হবে না। কিন্তু শিশুর মাথা যদি মায়ের জরায়ুর মুখ দিয়ে বের হতে পারে তাহলে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব।

২। শিশুর গ্রোথ মাথার অবস্থান এর উপর নরমাল ডেলিভারি বোঝা সম্ভব হবে। মায়ের পেটে যদি সন্তানের অবস্থান উল্টো থাকে তাহলে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হবে না। তাই প্রথমে দেখতে হবে মায়ের পেটে সন্তানের অবস্থান কেমন আছে।

৩। সন্তান পেটে থাকা অবস্থায় পানির পরিমাণ বোঝা যায়। যদি পানি থাকে তাহলে প্রসবের সময় নবজাতকের মুখ খুঁজতে সুবিধা হয়। পানি কম থাকলে যে নালী দিয়ে সে মায়ের শরীর থেকে খাবার নেই তাতে সমস্যা দেখা দেয়।

৪। গর্ভফুল সাধারণত জরায়ুর ওপরে কিংবা সামনে-পেছনে থাকে। নরমাল ডেলিভারির জন্য সন্তান নিচের দিকে আর গর্ভফুল উপরের দিকে থাকতে হবে। এর উল্টো হলে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব হবে না।

নরমান ডেলিভারি হওয়ার উপায় - নরমাল ডেলিভারি করার নিয়ম

নরমান ডেলিভারি হওয়ার উপায় অনেকেই জানতে চাই। সাধারণত নরমাল ডেলিভারিতে যদিও নারীদের বেশি কষ্ট হয় তবুও নরমাল ডেলিভারি সিজার করার চাইতে অনেক বেশি ভালো। নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য নরমান ডেলিভারি হওয়ার উপায় জানা অত্যন্ত জরুরী। এছাড়া নরমাল ডেলিভারি করার নিয়ম উল্লেখ করা হলো।

মা ও সন্তান উভয়ের জন্য স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ হল নরমাল ডেলিভারি। নরমাল ডেলিভারিতে বাচ্চা হলে কিছু ব্যাকটেরিয়া বাচ্চার মধ্যে প্রবেশ করে যা বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে কিছু উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

  • নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা জন্মগ্রহণ করলে সাধারণত বাচ্চা খুব সহজেই এবং অল্প সময়ের মধ্যেই মাতৃদুগ্ধ পান করার পদ্ধতি শেখা যায়।
  • নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে মায়ের শরীরের কোন অংশ কাটা হয় না যার ফলে মায়ের কষ্ট কমে যায় এবং কোন ধরনের ঝামেলা হয় না।
  • নরমাল ডেলিভারিতে প্রসব যন্ত্রণা একটু বেশি সহ্য করতে হয় কিন্তু একবার প্রসব হয়ে গেলে পরবর্তী আর কোন সমস্যা হয় না।
  • যারা নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা জন্মদান করেন সাধারণত তারা সিজার করা মাইরের থেকে বেশি কর্মক্ষম এবং সাহসী হয়ে থাকেন।

আপনাদের সুবিধার্থে উপরে আমরা অনেকগুলো নরমান ডেলিভারি হওয়ার উপায় আলোচনা করেছি। আপনি যদি চান আপনার সন্তান নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে হোক তাহলে অবশ্যই উপরের পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করুন। গর্ভবতী নারীদের মাতৃত্বকালীন সময়ে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি খেতে হবে।

অনেকে এই সময় শুয়ে বা বসে কাটাতে পছন্দ করেন। অনেকের মাঝে কাজ করার অনীহা দেখা যায়। যদি চিকিৎসক আপনাকে বিশ্রামে থাকতে না বলেন ও আপনার কোনো জটিলতা না দেখা দেয়, তাহলে শুয়ে বসে না থেকে হালকা ও সাধারণ কাজের মধ্যে থাকুন। নিজেকে সচল রাখুন।

স্বাভাবিক ডেলিভারির জন্য শরীরের পাশাপাশি মানসিক অবস্থারও উন্নতি প্রয়োজন। শরীর ও মন প্রফুল্ল রাখে এমন কাজ করুন। এই সময় কোনো প্রকার মানসিক স্ট্রেস নেওয়া যাবে না। নিজেকে সবসময় হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করবেন।

নরমাল ডেলিভারি হওয়ার দোয়া

আমরা এখন নরমাল ডেলিভারি হওয়ার দোয়া সম্পর্কে আলোচনা করব। যখন সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় হবে তখন বেশি বেশি করে আল্লাহ তায়ালার জিকির করতে হবে। একজন নারী যখন সন্তান জন্ম দিবে তখন সে যেন নিজের সুরার আয়াতগুলো পাঠ করে এবং নিজের গায়ে ফু দেয়। আয়াতগুলো হলঃ

  • সূরা রাদের ৮ নম্বর আয়াত
  • সূরা ফাতির ১১ নম্বর আয়াত
  • সূরা নাহাল ৮৭ নম্বর আয়াত ও সূরা যিলযাল

এই আয়াতগুলো পাঠ করে সন্তান প্রসবকালীন সময় পেটের উপরে ফু দেবে। অথবা তার পাশে থাকার যে কোন মানুষ এই সূরার আয়াতগুলো পাঠ করে পানিতে ফু দিবে এবং সেই পানি গর্ভবতীকে পান করাবে অথবা তার শরীরে মালিশ করবে। এতে করে আল্লাহ তায়ালা গর্ভবতী নারীর কষ্টকে অনেক কমিয়ে দেবে।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে টেলিটক সিমে এসএমএস কিনবেন

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেন, "আল্লাহতালার ৯৯ টি গণ নাম রয়েছে। যে ব্যাক্তি এই গুণবাচক নাম গুলোর জিকির করবে সে জান্নাতে যাবে।" গর্ভাবস্থায় অবশ্যই কোরআন মাজিদ বেশি বেশি পাঠ করতে হবে এবং বেশি বেশি আল্লাহতালার নাম নিতে হবে। বিশেষ করে যখন নরমাল ডেলিভারি হবে তখন অন্য কিছু না চিন্তাভাবনা করে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার নাম জিকির করতে হবে।

সন্তান নরমাল ডেলিভারি করার ২০ টি কার্যকরী টিপসঃ উপসংহার

সন্তান নরমাল ডেলিভারি করার ২০ টি কার্যকরী টিপস, নরমাল ডেলিভারি হওয়ার দোয়া, নরমাল ডেলিভারি করার নিয়ম, নরমান ডেলিভারি হওয়ার উপায়, নরমাল ডেলিভারি হওয়ার লক্ষণ, নরমাল ডেলিভারি হওয়ার কিছু টিপস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।

আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে সেই পর্যন্ত অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করতে থাকুন।২০৮৭৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url