স্পটিং কেন হয় - স্পটিং হলে করনীয়

স্পটিং কেন হয়, সে বিষয় সম্পর্কে যদি আপনি বিস্তারিত তথ্য জেনে রাখেন তাহলে স্পটিংএর সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি লাভ করতে পারবেন। পক্ষান্তরে স্পটিং কেন হয়, সে সম্পর্কে না জানলে, সহজে আপনি এর চিকিৎসা করতে পারবেন না। কেননা স্পর্টিং হওয়ার কারণসমূহ বন্ধ না করলে কখনোই তা নির্মূল হবে না। স্পটিং কেন হয় সে বিষয়ে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো।

পেজ  সূচিপত্র: স্পটিং কেন হয় - স্পটিং হলে করনীয়

স্পটিং মানে কি

স্পটিং মানে কি, তা অনেকেই জানেনা। আপনি যদি না জেনে থাকেন যে, স্পটিং মানে কি? তাহলে এখনই তা জানতে পারবেন। কেননা স্পটিং মানে কি? সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিচে তুলে ধরা হবে। তো আসুন দেখে নেয়া যাক, স্পটিং মানে কি? 

স্পটিং হলো: ঋতুস্রাবের সময় ব্যতীত অন্য কোন সময়ে যোনিপথ দিয়ে সামান্য পরিমাণে রক্তস্রাব নির্গত হওয়া। অনেক সময় দেখা যায় যে, অন্তবাসে সামান্য পরিমাণে রক্তের দাগ দেখা দেয়। মাসিক ঋতুস্রাব ব্যতীত এই ধরনের রক্তের দাগকেই স্পটিং বলা হয়। স্পটিং মানে কি, আশা করি এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানতে পারলেন। 

স্পটিং গুরুতর কোন সমস্যা নয়। তবে দীর্ঘদিন ধরে অতিমাত্রায় যদি স্পটিং হতে থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। এবং এর উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে সামান্য এই সমস্যা থেকে পরবর্তীতে বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যেতে পারে। 

স্পটিং কেন হয় - স্পটিং কখন হয়

স্পটিং গুরুতর কোন সমস্যা নয়। অনেক সময় ছোটখাটো কারণে স্পটিং হতে পারে। তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে। তবে যদি স্পটিং দীর্ঘস্থায়ীভাবে চলতে থাকে সেক্ষেত্রে তা দুশ্চিন্তার কারণ। কেননা দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে তা বড় কোন রোগের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। যাই হোক, স্পটিং হওয়ার নির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে। নিম্ন বর্ণিত কারণ গুলো যদি আপনার ভেতরে থেকে থাকে তাহলে স্পটিং হতে পারে।

তাই আপনি যদি, স্পটিং নিরাময় করতে চান সে ক্ষেত্রে অবশ্যই, আপনাকে স্পটিং হওয়ার কারণগুলো দূর করতে হবে। চিকিৎসার মাধ্যমে বা অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে যদি আপনি স্পটিং হওয়ার কারণসমূহ দূর করতে পারেন, তাহলে স্পোর্টিং এর মত সমস্যাগুলো খুব সহজেই নির্মূল করা সম্ভব। যাইহোক আশা করি নিম্ন বর্ণিত স্পটিং হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে জেনে উপকৃত হবেন। 
স্পটিং কেন হয় বা স্পটিং কখন হয়, সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে তাই আপনি যদি জানতে চান যে, স্পটিং কেন হয় বা স্পটিং কখন হয়? তাহলে নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো মনোযোগের সাথে পড়তে থাকুন। আশা করি আপনি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।  

সাধারণত যে সকল কারণে স্পটিং হতে পারে সেই কারণগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। তাই আপনি যদি কখনো স্পটিং এর মত সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে, নিম্ন বর্ণিত কারণগুলো আপনার মধ্যে রয়েছে কিনা তা যাচাই করে নেবেন। এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। স্পটিং কেন হয় বা স্পটিং কখন হয় তা নিম্নরূপ: 
  • গর্ভবতী হলে।
  • জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করলে। 
  • ওভুলেশনের সময়।
  • জরায়ুতে ফাইব্রয়েড হলে।
  • থাইরয়েড জনিত সমস্যা থাকলে।
  • মেনোপজ এর পূর্ব লক্ষণ স্বরূপ।
  • জরায়ু ক্যান্সার হলে।
  • রুক্ষভাবে যৌন মিলন করলে। 
  • জরায়ুর পলিপাস থাকলে। 
  • মানসিক চাপের কারণে। 

স্পটিং হলে করনীয়

স্পটিং হলে করনীয় কিছু কাজ রয়েছে। সেই কাজগুলো করতে পারলে স্পোর্টিং এর সমস্যা দূর হয়ে যাবে। স্পটিং হলে করনীয় কি, সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে। নিম্ন বর্ণিত তথ্যগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করলে আশা করা যায় স্পটিং এর সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তো আসুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, স্পটিং হলে করনীয় কার্যসমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। 
  • বিশ্রাম নেওয়া।
  • ঋতুস্রাবের সময় প্যাড ব্যবহার করে, ট্যামপুন ব্যবহার করবেন না। 
  • ঋতুস্রাবের সময় যৌন মিলন করবেন না।
  • অল্পমাত্রায় প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খেতে পারেন।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
  • হালকা ব্যয়াম করুন।
  • বাসার সময় পা উঁচুতে রাখুন।
  • ভারী জিনিস উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকুন। 

স্পটিং কত দিন থাকে

সাধারণত গর্ভনিরোধক ঔষধ খেলে স্পটিং হয়ে থাকে। অর্থাৎ গর্ভনিরোধক পিলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে স্পটিং হয়। এখন কথা প্রশ্ন হলো: স্পটিং কত দিন থাকে? স্পোর্টিং এর নির্ধারিত কোন সময়সীমা নেই। স্পটিং কত দিন থাকে, এর নির্ধারিত কোন সময় সীমা নেই। স্পটিং কত দিন থাকে তা নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার স্বাস্থ্যের উপরে। কখনো কখনো দু একদিন স্পটিং হওয়ার পরে আর এই সমস্যা দেখা দেয় না। এই ধরনের অল্প পরিমাণে স্পটিং কোন সমস্যা নয়। 
তবে যদি স্পটিং বহুদিন ধরে স্থায়ীভাবে থাকে। অর্থাৎ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। কেননা, দীর্ঘদিন ধরে স্পোটিং এর সমস্যা অব্যাহত থাকলে তা গুরুতর কোন রোগের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। স্পটিং কত দিন থাকে, আশা করি তা জানতে পারলেন। স্পটিং কেন হয় এবং স্পটিং কখন হয় তা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। গর্ভাবস্থায় স্পটিং হলে করণীয় কি তা নিম্নরূপ। 

গর্ভাবস্থায় স্পটিং

গর্ভাবস্থায় স্পটিং কমন একটি বিষয়। তাই গর্ভাবস্থায় স্পটিং এর মত সমস্যা দেখা দিলে তার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। কেননা অল্পমাত্রায় স্পোটিং হলে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। তবে স্পটিং যদি দীর্ঘ সময় ধরে অব্যাহত থাকে তাহলে অবশ্যই তা দুশ্চিন্তার কারণ। দীর্ঘদিন ধরে গর্ভাবস্থায় স্পটিং হলে অবশ্যই তার গুরুত্বের সহিত বিবেচনা করতে হবে। কেননা দীর্ঘসময়, স্পটিং বা ভ্যাজাইনাল ব্লিডিং হলে তা গর্ভপাতের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। স্পর্টিং এর সাথে যদি নিম্ন বর্ণিত, লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় সে ক্ষেত্রে তা গর্ভপাতের পূর্ব লক্ষণ। 
  • রক্ত মিশ্রিত স্রাব নির্গত হওয়া।
  • জরায়ু দিয়ে পানি ভাঙা।
  • তলপেটে ব্যথা হওয়া।
  • জরায়ুতে টান অনুভব করা।
  • মেরুদন্ডে ব্যথা হওয়া
উপরে উল্লেখিত লক্ষণ সমূহের সাথে যদি স্পটিংএর সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে গাইনি ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া এবং উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করা। কেননা সময় মত যদি আপনি চিকিৎসা গ্রহণ না করেন সেক্ষেত্রে আপনার গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। 
আর তাই গর্ভাবস্থায় যদি অতিমাত্রায় স্পটিং এর মত সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে অবদান থাকতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে ঔষধ সেবন করতে হবে। কেননা যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসা না করলে, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

শেষ কথা

আপনি যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগের সাথে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন যে, স্পটিং কেন হয়? স্পোর্টিং হওয়ার কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে ইতোমধ্যেই উপদেশ যে সকল আলোচনা তুলে ধরা হয়েছে আশা করি সেই তথ্যগুলো আপনার ভালো লেগেছে। উপরে উল্লেখিত তথ্যসমূহ যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনি আপনার পরিচিত বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এতে করে তারাও স্পটিং সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবে।  ১৬৪১৩

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url