নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়াতে কি করবেন

নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়াতে কি করবেন? অবশ্যই আপনাকে এ বিষয়গুলো জেনে রাখা উচিত। অনেক গর্ভবতী মা রয়েছে যারা চাই তাদের সন্তান নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পৃথিবীতে আসুক। কিন্তু তারা নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়াতে কি করবেন? এ বিষয়ে কোন ধারণা রাখেনা। তাদের সুবিধার্থে এই আর্টিকেলে নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়াতে কি করবেন? এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়াতে কি করবেন? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়াতে কি করবেন? তা জেনে নেওয়া যাক।

কনটেন্ট সূচিপত্রঃ নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়াতে কি করবেন

নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়াতে কি করবেনঃ ভূমিকা

আমরা জানি যে সিজার করে বাচ্চা বের করার চাইতে নরমাল ডেলিভারিতে একজন গর্ভবতী মায়ের বেশি কষ্ট হয়। তবুও বেশিরভাগ গর্ভবতী নারী চায় তাদের সন্তান নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পৃথিবীতে আসুক। কারণ নরমাল ডেলিভারিতে একটু কষ্ট হলেও মায়ের শরীরের কোন ধরনের ক্ষতি হয় না। কিন্তু সিজারের মাধ্যমে মায়ের শরীরের কর্ম ক্ষমতা অনেকটা কমে যায়।

আরো পড়ুনঃ কি ফল খেলে লিভার ভালো থাকে

আজকের এই আর্টিকেলে নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়াতে কি করবেন? এই বিষয়ে সহ নরমাল ডেলিভারির জন্য করণীয়, বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

নরমাল ডেলিভারির জন্য করণীয়

সকল নারী চাই মা হওয়ার স্বাদ গ্রহণ করতে। সাধারণত একজন মায়ের জন্য তার সন্তানের চেয়ে পৃথিবীতে আর কিছুই বড় থাকে না। কিন্তু একজন সন্তানকে পৃথিবীতে আনার জন্য মাকে অনেক কষ্ট করতে হয়। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান জন্ম হলে মায়ের প্রচুর পরিমাণে কষ্ট হয় তারপরেও বেশিরভাগ মা চায় তাদের সন্তান নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে কোনরকম অস্ত্রপ্রচার ছাড়া জন্মগ্রহণ করুক।

আপনি যদি চান আপনার সন্তান নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পৃথিবীতে আসুক তাহলে নরমাল ডেলিভারির জন্য করণীয় রয়েছে। অবশ্যই আপনাকে নরমাল ডেলিভারির জন্য করণীয় গুলো মেনে চলতে হবে।

  • বাচ্চা গর্ভধারণের পূর্বেই পরিকল্পনা
  • সঠিক বয়সের গর্ভধারণ
  • নিয়মিত শরীর চর্চা করা
  • নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা
  • সুষম খাদ্য গ্রহণ
  • গর্ভকালীন জটিলতা থেকে মুক্তি
  • মনোবল না হারানো
  • খাদ্য তালিকার পরিবর্তন
  • উপযুক্ত বি এম আই

বাচ্চা গর্ভধারণের পূর্বেই পরিকল্পনা -- আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ রয়েছে যারা সন্তান নেওয়ার পূর্বে কোন ধরনের পরিকল্পনা করে না। কিন্তু যারা শিক্ষিত পিতা-মাতা রয়েছে সাধারণত তারা সন্তান নেওয়ার পূর্বে একটা পরিকল্পনা করে থাকে। এই ক্ষেত্রে জটিলতা কম হয়ে থাকে। সবকিছু নিজে থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

সঠিক বয়সের গর্ভধারণ -- মেয়েদের সঠিক সময়ে গর্ভধারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন মেয়ে যদি চাই তার সন্তানকে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পৃথিবীতে আনবে তাহলে সঠিক বয়সের গর্ভধারণ করতে হবে। একজন মেয়ের গর্ভধারণের উপযুক্ত বয়স হল ২০ থেকে ৩৫ বছর। এ সময় জটিলতা কম হয় এবং নরমাল ডেলিভারি সহজেই হয়ে যায়।

নিয়মিত শরীর চর্চা করা -- গর্ভাবস্থায় নিয়মিত শরীরচর্চা এছাড়া ইয়োগা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় শরীরকে ফিট রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নরমাল ডেলিভারি করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত শরীরচর্চা করে শরীরকে সুস্থ এবং সঠিক রাখতে হবে।

নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা -- গর্ভাবস্থায় নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যদি আপনি চান আপনার সন্তান নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পৃথিবীতে আসুক। নিয়মিত পরীক্ষা যেমন মায়ের শরীরের ওজন প্রেসার ব্লাড সুগার বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির সবকিছু দেখা যায়।

সুষম খাদ্য গ্রহণ -- গর্ভবতী মায়ের জন্য পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে হিমোগ্লোবিন সঠিক পরিমাণে রাখা এবং প্রাণশক্তি বজায় রাখার নরমাল ডেলিভারির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদেরকে খাদ্য তালিকায় অবশ্যই সুষম খাদ্য রাখতে হবে।

গর্ভকালীন জটিলতা থেকে মুক্তি -- গর্ভাবস্থায় অনেক ধরনের জটিলতা দেখা যায়। যেমন গর্ভফুল নিচে থাকা বাচ্চার ওজন কম থাকা হঠাৎ করে পানি ভেঙ্গে যাওয়া এ ধরনের জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আর এই সমস্যাগুলো না হয় সে ধরনের কার্যক্রম করতে হবে কারণ এই সমস্যাগুলো হলে নরমাল ডেলিভারি করা যায় না।

মনোবল না হারানো -- আপনি যদি চান আপনার সন্তান নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পৃথিবীতে আসুক তাহলে নরমাল ডেলিভারির জন্য মানসিক শক্তি একান্তই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে নরমাল ডেলিভারির ব্যাথা সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে।

আরো পড়ুনঃ গর্ভবতী মায়ের ফল খাওয়ার তালিকা - গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত

খাদ্য তালিকার পরিবর্তন -- নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য ভালো খাদ্য গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই আমাদেরকে অবশ্যই সাধারণ খাদ্য তালিকা থেকে বেশ কিছু পুষ্টিকর এবং গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারগুলো খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাই আমাদেরকে খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করতে হবে।

উপযুক্ত বি এম আই -- মায়ের উচ্চতা এবং ওজন নরমাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তাই সঠিক বিএমআই থাকা গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ মায়ের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন সঠিক থাকতে হবে তাহলে এটি নরমাল ডেলিভারি হতে সাহায্য করে।

নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়াতে যা করবেন

নরমাল ডেলিভারির মধ্যে সন্তান হলে মায়ের প্রচুর পরিমাণে কষ্ট হয় তবে এ কষ্ট ক্ষণিকের জন্য। কিন্তু সিজারের কষ্ট দীর্ঘদিন ধরে বয়ে বাড়াতে হয় এমনকি সারা জীবন একটা দুর্বলতা থেকে যায়। তাই আগে থেকে সতর্ক হওয়ার জন্য আমাদেরকে নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়াতে কি করবেন? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।

  • নিয়মিত ব্যায়াম করা
  • পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ
  • নিয়মিত চেকআপ
  • সঠিক মাত্রার ওজন বৃদ্ধি
  • মানসিক চাপমুক্ত থাকা
  • স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে চলা
  • কেগেল এক্সারসাইজ করা

নিয়মিত ব্যায়াম করা -- বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সকল গর্ভবতী মায়েরা নিয়মিত ব্যায়াম করে এবং নিজের শরীরকে সুস্থ ফিট রাখে সাধারণত তাদের নরমাল ডেলিভারি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সেই সাথে সময়ের আগে সন্তান প্রসব হওয়া এবং কম ওজনের সন্তান জন্মদানের ঘটনা কম দেখা যায়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন বাড়া প্রতিরোধ করে।

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ -- গর্ভধারণ করলে বেশি বেশি খাবার খেতে হবে এমনটা নয়। খাবার পরিমাপমতো খেতে হবে কিন্তু অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। অতিরিক্ত চিনি ও তেল চর্বিযুক্ত খাবার যতটা সম্ভব বাদ দিতে হবে। সঠিক পরিমাণে সুষম খাবার খেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং পর্যাপ্ত শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে।

নিয়মিত চেকআপ -- গর্ভকালীন অবস্থায় নিয়মিত চেকআপ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভাবস্থায় যে সকল নারীরা নিয়মিত চেকআপ করে সাধারণত তাদের সন্তান নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে খুব সহজেই হয়ে থাকে এবং তাদের গর্ভকালীন ও প্রসব সংক্রান্ত বিশেষ জটিলতা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান জন্ম দিতে হলে নিয়মিত চেকআপ এর মধ্যে থাকুন।

সঠিক মাত্রার ওজন বৃদ্ধি -- মা এবং গর্ভের সন্তানকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই গর্ভাবস্থায় সঠিক মাত্রায় ওজন বৃদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভবতী মাকে খেয়াল রাখতে হবে তার ওজন যেন অতিরিক্ত পরিমাণে বৃদ্ধি না পেয়ে যায় অথবা অতিরিক্ত ওজন কমে না যায়। অবশ্য অতিরিক্ত ওজন কমে গেলে অথবা বেড়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

মানসিক চাপমুক্ত থাকা -- গর্ভাবস্থায় আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই মানসিক চাপমুক্ত থাকুন। বিশেষ করে আপনি যদি চান আপনার সন্তান নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পৃথিবীতে আসুক তাহলে অবশ্যই আপনাকে মানসিক চাপমুক্ত থাকতে হবে। যদিও এটি অনেক কঠিন কাজ তবে চেষ্টা করতে হবে সব সময় মানসিক চাপমুক্ত থাকা এবং হাসিখুশি থাকা।

স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে চলা -- গর্ভধারণ এর পরিকল্পনা শুরু করার পর থেকেই নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে এবং স্বাস্থ্য পরামর্শ মেনে চলতে হবে। অতিরিক্ত কয়েকম করা যাবে না পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে এবং রাতে ৮-৯ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। গর্ভাবস্থায় কোন জটিলতা দেখা দিলে অবশ্য তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কেগেল এক্সারসাইজ করা -- গর্ভবতী নারীদের জন্য কেগেল এক্সারসাইজ খুবই কার্যকরী। কেগেল এক্সারসাইজ করলে জরায়ু মূত্রথলী এবং নারী পরী কে সঠিক স্থানে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় বাড়ন্ত জরায়ুকে সাপোর্ট দিয়ে থাকে। তাই নিয়মিত কেগেল এক্সারসাইজ করতে থাকুন।

বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়

গর্ভাবস্থায় যদি বাচ্চার ওজন বেশি হয় তাহলে এই সময় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াই। কারণ যারা নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করতে আগ্রহী সাধারণত তারা বেশি চিন্তিত হয়ে পড়ে। আমরা ইতিমধ্যেই নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়াতে কি করবেন? এ বিষয়ে সম্পর্কে আপনাদের জানিয়েছি। বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়? এ বিষয়ে সম্পর্কে জানাবো।

২.৫ কেজি থেকে ৩ কেজি পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারির জন্য সবথেকে উপযুক্ত ওজন। তবে বাচ্চার ওজন যদি ৪ কেজি অথবা এর থেকে বেশি হয়ে থাকে তাহলে বাচ্চা হওয়ার রাস্তার উপর নির্ভর করে নরমাল ডেলিভারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে যদি বাচ্চার পরিস্থিতি ঠিকঠাক থাকে তাহলে ২ কেজি থেকে ৪ কেজি পর্যন্ত ওজন থাকলে নরমাল ডেলিভারি করার চেষ্টা করা হয়।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে শরীরের দূর্বলতা কাটাবেন - শরীর দূর্বল লাগার কারণ কি

এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই জেনে রাখতে হবে যে বাচ্চার ওজন যদি বেশি হয় এবং বাচ্চা হওয়ার রাস্তা যদি স্বাভাবিক না থাকে তাহলে এক্ষেত্রে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা বের করে নেওয়াকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। অনেক সময় দুই কেজি থেকে তিন কেজি বাচ্চার ওজন হওয়ার পরেও নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব হয় না। এটা সম্পূর্ণ বাচ্চা হওয়ার রাস্তার ওপর নির্ভর করে।

নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়াতে কি করবেনঃ উপসংহার

এই আর্টিকেলে নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়াতে কি করবেন? এই বিষয়ে সহ নরমাল ডেলিভারির জন্য করণীয়, বাচ্চার ওজন কত হলে নরমাল ডেলিভারি হয়? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় বন্ধুরা আশা করি আপনার রক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আপনাদের বিষয়গুলো জানাতে পেরে আমার আনন্দিত।

আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে সেই পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। ২০৮৭৬

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url