হার্টের জন্য উপকারী খাবার - হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার

হার্টের জন্য উপকারী খাবার খাওয়া আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হার্টকে সুস্থ রাখতে হার্টের জন্য উপকারী খাবার খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। আজকের এই আর্টিকেলে হার্টের জন্য উপকারী খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট হার্টের জন্য উপকারী খাবার গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। উক্ত বিষয়টি জানতে হলে আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ হার্টের জন্য উপকারী খাবার - হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার

হার্টের জন্য উপকারী খাবার - হার্টের জন্য উপকারী ফল

আমরা সকলেই চাই আমাদের হার্ট সুস্থ থাকুক। এটি চাইলে আমাদেরকে অবশ্যই হার্টের জন্য উপকারী খাবার গুলো খেতে হবে এবং হার্টের জন্য উপকারী ফল খাওয়া জরুরি। তাহলে আমরা হার্টের বিভিন্ন রকম সমস্যা থেকে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে পারব। আপনাদের সুবিধার্থে হার্টের জন্য উপকারী ফল এবং হার্টের জন্য উপকারী খাবার নিচে উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুনঃ201 গম্বুজ মসজিদ - ২০১ গম্বুজ মসজিদ ছবি

হার্টের জন্য উপকারী খাবারঃ

  • বাদাম
  • কমলা
  • আদা
  • সামুদ্রিক মাছ
  • মিষ্টি আলো
  • ছোলা
  • জাম্বুরা
  • গাজর
  • রসুন
  • ডুমুর

বাদাম - বাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আনসেচুরেটেড ফ্যাট যা আমাদের হার্টের জন্য অনেক উপকারী। আমরা যদি নিয়মিত বাদাম খেতে পারি তাহলে এটি আমাদের হৃদরোগ থেকে অনেকটাই দূরে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত বাদাম খেলে শরীরে উপকারী কোলেস্টেরল এর মাত্রা বেড়ে যায়।

কমলা - কমলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। কমলার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম যা ব্লাড প্রেসার কমায়। কমলা খাওয়ার ফলে হার্টের বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।

আদা - আমরা এটা জানি যে আদা সাধারণত মসলার কাজে ব্যবহার করা হয় কিন্তু এর অনেক উপকারিতা রয়েছে বিশেষ করে আমাদের হার্টের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হার্টের বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান করতে আদার মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো ভূমিকা রাখে।

সামুদ্রিক মাছ - আমরা কমবেশি সকলেই জানি যে সামুদ্রিক মাছ আমাদের হার্টের জন্য অনেক উপকারী। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। আপনি যদি আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন।

মিষ্টি আলো - যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য মিষ্টি আলু উপকারী হবে না। সাধারণত মানুষের এ ধরনের ভুল ধারণা রয়েছে। মিষ্টি আলুর মধ্যে রয়েছে দ্রবণীয় আশ ভিটামিন এ এবং লাইসোপেন যা আমাদের হার্টের জন্য উপকারী।

ছোলা - ছোলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পটাশিয়াম। শুধুমাত্র তাই নয় ছোলা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখে। এর মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটা কমিয়ে দেয়।

জাম্বুরা - জাম্বুরা এক ধরনের ফল এর মধ্যে রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান। এই পুষ্টি উপাদান গুলো হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরে বিভিন্ন রকম সমস্যা সমাধান করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

গাজর - গাজরের মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো আমাদের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। গাজরের মধ্যে যে সকল উপাদান রয়েছে তা আমাদের শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল গুলোকে বের করে এবং আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখে।

রসুন - আমাদের রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল হলো এল ডি এল। এই খারাপ কোলেস্টেরল গুলোকে রচনে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো দারুণভাবে কমাতে সাহায্য করে। আপনি যদি রসুন খেতে পারেন নিয়মিত তাহলে এটির উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

ডুমুর - ডুমুর হচ্ছে একটি ফল যা হার্ট সুরক্ষিত করার জন্য পুষ্টির অন্যতম সেরা উৎস। ডুমুরের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফাইবারযুক্ত যা আমাদের হার্টের জন্য অনেক উপকারী এবং এটি হার্টের বিভিন্ন রকম সমস্যা থেকে সমাধান দিয়ে থাকে।

হার্টের রোগীর খাবার তালিকা

যে কোন হার্টের রোগীর জন্য হার্টের রোগীর খাবার তালিকা মেনে চলার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ খাবার অনেকটাই প্রভাব ফেলে একজন হার্টের রোগীর জন্য। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা হার্টের রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

হার্টের রোগীর খাবার তালিকাঃ

  • ফলমূল ও শাকসবজি
  • মাছ অর্থাৎ সামুদ্রিক মাছ
  • বাদাম ও বীজ
  • অলিভ অয়েল
  • ডিম
  • সিম ও মোটর জাতীয় খাবার
  • লাল চাল, লাল আটা রুটি
  • কম ফ্যাট যুক্ত মাংস

সতেজ ফলমূল ও শাকসবজি রাখতে হবে - হার্টের রোগের জন্য সতেজ ফলমূল এবং শাক সবজি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সতেজ শাকসবজি এবং ফলমূলের মধ্যে রয়েছে হাটের রোগীর জন্য উপকারী সব পুষ্টি উপাদান।

মাছ অর্থাৎ সামুদ্রিক মাছ - বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে রয়েছে হার্টের রোগীর জন্য উপকার। সামুদ্রিক মাছের মাঝে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড হার্টের জন্য উপকারী।

বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার - বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার হার্টের রোগীর জন্য অনেক উপকারী। আপনি যদি খাদ্য তালিকায় নিয়মিত বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার রাখেন তাহলে এটি আপনার হার্টের জন্য উপকারী হবে।

অলিভ অয়েল দিয়ে রান্না করা খাবার - অলিভ অয়েল তেল দিয়ে রান্না করা খাবার খেতে হবে। কারণ অলিভ অয়েল হার্টের জন্য অনেক উপকারী।

ডিম খেতে হবে - নিয়মিত ডিম খেতে হবে। ডিমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা আমাদের হার্টের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখে।

সিম ও মোটর জাতীয় খাবার - সিম ও মটর জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। কারণ এগুলোর মধ্যে হার্টের সমস্যার সমাধানের জন্য সেই পুষ্টি উপাদানগুলো রয়েছে।

লাল চাল, লাল আটা রুটি খেতে হবে - নিয়মিত লাল চাল, লাল রুটি খেতে হবে। কারণ এগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী বিশেষ করে হার্টের রোগীর জন্য।

কম ফ্যাট যুক্ত মাংস - মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে কম ফ্যাট যুক্ত মাংস খেতে হবে। কারণ অতিরিক্ত ফ্যাট হার্টের জন্য অনেক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই কম ফ্যাট যুক্ত মাংস খেতে হবে।

হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার

হার্টের জন্য উপকারী খাবার সম্পর্কে জেনেছি কিন্তু অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো হার্টের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে একজন হার্টের রোগীকে হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলো সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। আপনাদের জানার সুবিধার্থে হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুনঃ শরীরের পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে কি কি খাবার খাবেন

হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবারঃ

  • কলিজা, মগজ ইত্যাদি
  • চিংড়ি মাছ
  • ডিমের কুসুম
  • ফাস্টফুড
  • মাছের মাথা
  • ঘি মাখন
  • অতিরিক্ত ভাজাপোড়া

কলিজা, মগজ ইত্যাদি - কলিজা মগজ, হাড়ের মজ্জা এই অংশগুলোতে অতিরিক্ত পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে যা একজন হার্টের রোগীর জন্য ক্ষতিকর। তাই হার্টের সমস্যার জন্য অবশ্যই এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

চিংড়ি মাছ - হার্টের রোগীর জন্য আর একটি ক্ষতিকর খাবার হলো চিংড়ি মাছ। কারণ চিংড়ি মাছের মধ্যে ক্যালোরি এবং ফ্যাট কম থাকলেও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল। তাই এটি একজন হার্টের রোগের জন্য বর্জনীয় খাবার।

ডিমের কুসুম - হার্টের রোগের জন্য ডিমের সাদা অংশ খাওয়া গেলেও ডিমের কুসুম খাওয়া উপকার হবে না। কারণ ডিমের কুসুম এর মধ্যে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। যা হার্টের রোগের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

ফাস্টফুড - হার্টের রোগীর জন্য অবশ্যই ফাস্টফুট জাতীয় খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল যা হার্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

মাছের মাথা - রক্তে এল ডি এল কোলেস্টেরল এর মাত্রা বৃদ্ধি করে থাকে মাছের মাথার মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো। যার ফলে একজন হার্টের রোগের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

ঘি মাখন - ঘি এবং মাখন উপকারী খাবার হলেও এর মধ্যে রয়েছে উচ্চমাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট। রোগের জন্য ক্ষতির কারণ। তাই আমাদেরকে অবশ্যই অতিরিক্ত করে কোন ঘি এবং মাখন খাওয়া যাবেনা।

অতিরিক্ত ভাজাপোড়া - আমরা সকলেই এটা জানি যে অতিরিক্ত পরিমাণে ভাজাপোড়া তৈলাক্ত খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। হার্টের রোগীর জন্য সব সময় অতিরিক্ত ভাজাপোড়া থেকে দূরে থাকতে হবে।

হার্টের জন্য রসুনের উপকারিতা

আমরা অনেকে এটা জানি যে হার্টের জন্য রসুনের উপকারিতা কতটা রয়েছে। আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু অনেকে শুধু মনে করে যে রসুন শুধুমাত্র রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এমনটা নয় হার্টের জন্য রসুনের উপকারিতা নিচে উল্লেখ করা হলো।

হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য রচনা সবচেয়ে ভালো। কারণ রসুন রক্ত সঞ্চালন এবং কম কোলেস্ট্রল বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। এই বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণে অনেক হৃদরোগ নিজেরাই দূরে থাকে। হার্টকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে প্রতিদিন সকালে যদি কাঁচা রসুনের কুয়া খেতে পারেন তাহলে অনেক উপকারী হবে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রসুনের ব্যবহার খুবই উপকারী। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে। এর মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলো খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে সাধারণত তাই হার্টের জন্য অনেক উপকারী হিসেবে কাজ করে রসুন।

হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায়

যত দিন যাচ্ছে হার্টের রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে বয়স্কদের ছাড়িয়ে এখন তরুণ যুবকদের মাঝেও হার্টের সমস্যা দেখা যায়। আমরা যদি হার্টের সমস্যার সমাধানের উপায় জেনে নিতে পারি তাহলে এটি আমাদের জন্য খুবই উপকারী।

১। খাবার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শর্করা এবং চর্বিজাতীয় খাবার কম খেতে হবে। আমিষের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।

২। সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন আধা-ঘণ্টা হাঁটতে হবে। লিফটে চড়া এড়াতে হবে। একটানা বেশি সময় বসে থাকা যাবে না।

৩। ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। ওজন, রক্তচাপ ও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

৪। হৃদরোগের জন্য ভালো খাবার ফল ও সবজি। তৈলাক্ত খাবার হৃদরোগের জন্য বেশি ক্ষতিকারক। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সুগার এবং কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। রক্তচাপ পরিমাপও জরুরি।

হার্টের ঔষধের নাম

অনেকে আছে যারা হার্টের ঔষধের নাম জানতে চায় অনলাইনে সার্চ করে। যেহেতু হার্টের সমস্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জীবন মরণের সাথে জড়িত তাই এ সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের অবশ্যই একজন ভাল ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ভালো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আমাদেরকে ওষুধ খেতে হবে। তবু আপনাদের সুবিধার্থে হার্টের ঔষধের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুনঃ কি ফল খেলে লিভার ভালো থাকে

  • Preclot Tablet
  • Vastarel MR 60 mg
  • RTV 5 Tablet

আমাদের শেষ কথাঃ হার্টের জন্য উপকারী খাবার - হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার

প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে হার্টের জন্য উপকারী খাবার, হার্টের জন্য ক্ষতিকর খাবার, হার্টের জন্য উপকারী ফল, হার্টের ঔষধের নাম, হার্টের সমস্যা সমাধানের উপায়, হার্টের জন্য রসুনের উপকারিতা, হার্টের রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।২০৭৯১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url